ঘড়ির কাটার সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ব সভ্যতা সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও বহুমাত্রিক সমস্যায় জর্জরিত, তাই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীনতার প্রায় চার যুগ পরেও কাংখিত লক্ষ্যে পরিপূর্নভাবে পৌঁছাতে পারেনি। পারেনি; যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা দিতে, পরিবেশ বান্ধব কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন করতে, ক্রিড়া, শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি তথা আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত বিশ্বের কাছে ঘেঁসতে। তাই জাতীয় জীবনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে, কৃষি, শিল্প, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নয়নসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে, সুস্থ-সবল দেহমনের জাতি গঠনে সার্বিক সচেতনতাদানের পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে বিলীন প্রায় জীববৈচিত্র রক্ষা, মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিকখাদ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন, মাটি ও পরিবেশের ক্ষতিকারক ফসল উৎপাদনে নিরুতসাহিতকরণ সহ মিঠা পানির স্বদ্যব্যবহার ও সংরক্ষনের পাশাপাশি দেশকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার্থে, অসহায় দরিদ্র বস্তিবাসী পথশিশু ও প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা-প্রশিক্ষন এর পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনরোধকল্পে প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রেখে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দুর্ণীতিমুক্ত টেকশয় সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কুষ্টিয়া জেলার সদর পৌর এলাকা সহ আশেপাশের কিছু সংক্ষক সমমনা সমাজসেবী মনোভাবাপন্ন ব্যাক্তিগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, পৃষ্ঠপোষকতা ও সমন্বিত প্রয়াশে জননী জন্মভূমির সার্বিক কলাণ্যে গঠিত একটি সংস্থা। সদস্যগণের ব্যাক্তিগত চাঁদা, সমাজের সম্পদশালী ব্যাক্তিদের দান-অনুদান এর পাশাপাশি সরকারী, বে-সরকারী, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান/ সংস্থার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালে ডোনেট সংস্থাটি নিবন্ধীত হয়। যার নিবন্ধীত বয়স ২ বছর। ২০২০ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রথম র্নিবাচন সম্পন্ন হয়েছে।
মন্তব্য: ২০১৯-২০২০ সালের জন্য নির্ধারিত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন আশানুরূপ সম্ভব না হলেও মোটামুটিভাবে সন্তোষজনক গৃহীত বাস্তবমুখী কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মূল অন্তরায় অথর্। যেহেতু আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে সমাজের প্রতিবন্ধী ও পথশিশুদেরভাগ্য উন্নয়ন তথা আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আমাদের সম্পর্ক ও সীমাবদ্ধ যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে শুধু সদস্য চাদাও নামমাত্র অনুদানের উপর নির্ভর করে বিশাল জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন সাধন কষ্টসাধ্য ব্যাপার অবশেষে আমরা আশা করি আমাদের এই বাস্তবমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা সমূহ বাস্তবায়নের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিষয়টির প্রতি সদয় দৃষ্টি রাখবেন সরকার ও সমাজের বিত্তবান জনগোষ্ঠী।